প্রমানকে ভুল বলে দাবি আনিসের পরিবারের

একের পর এক তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। কিছুদিন আগেই আনিস খানের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। ৮২ পাতার রিপোর্ট মুখ বন্ধ খামে জমা দিয়েছে সিট। কিন্তু এই রিপোর্ট নিয়ে একেবারেই খুশি নয় আনিসের পরিবার। মামলাকারীরা এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই আওয়াজ তুলেছে এবং তাদের তরফে আদালতে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। আনিসের পরিবারের পক্ষে দাবি, ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে প্রমাণ করতে মরিয়া সিট। এই ইস্যুতে কড়া নির্দেশ ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তদন্তে ঠিক কী আপত্তি রয়েছে, তা এক সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারীদের হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।

এই ইস্যুতে আজ আদালতে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, আসল ঘটনা নিয়ে কোনও তদন্তই হচ্ছে না। বারবার জোর দিয়ে দাবি করা হচ্ছে যে পড়ে গিয়েই আনিসের মৃত্যু হয়েছে, আত্মহত্যা বলে চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এটা একেবারেই সত্যি নয়। তাঁর আরও দাবি, অপরাধীদের খোঁজার চেষ্টাও চলছে না। জিজ্ঞাসাবাদ হচ্ছে না। বরং বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে যে এটি হত্যা নয়, আত্মহত্যা। এই প্রেক্ষিতেই মামলাকারীদের হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১২ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

প্রসঙ্গত, সিট তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর আনিসের বাবাকে নিয়ে কড়া বার্তা দেয় আদালত। আসলে প্রথমে যেদিন রিপোর্ট জমা পড়ার কথা ছিল সেদিন তা পড়েনি। কারণ আদালতেই আসেননি বিচারপতি। ফলে জমা পড়েনি সেই রিপোর্ট। তার প্রেক্ষিতেই গুরুতর প্রশ্ন তোলেন আনিসের বাবা। বলে বসেন, বিচারপতি শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেন, নাকি মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেবার জন্য চাপ দেওয়া হল, তা তিনি জানেন না। এই মন্তব্যের জন্যই তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি বিচারপতি এও জানিয়ে দেন, আনিসের বাবাকে হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে তিনি নিজে সরে দাঁড়াবেন মামলার বিচারের দায়িত্ব থেকে। তাঁর কথায়, আনিসের বাবা যে আদালতের কাছে বিচার চাইছেন, তাকেই অপমান করছেন।