সম্প্রতি তার একটি ভুল মন্তব্যে তোলপাড় হয়েছে গোটা দেশসহ বিভিন্ন রাজ্যে। বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছে বিভিন্ন রাজ্যে যার আচ পড়েছে বাংলাতেও। সংবাদমাধ্যমের বিতর্ক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে হজরত মহম্মদ সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা। সেই মন্তব্যের পর থেকেই দেশ জুড়ে উত্তপ্ত পরিবেশ। রাজ্যে রাজ্যে বিক্ষোভ, অবরোধ। এই বিক্ষোভের প্রভাব পড়েছে বাংলাতেও। সেই কারণেই তাঁকে কলকাতা পুলিশ তলব করেছিল। নূপুরকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই ডাকে সাড়া দেননি। কেন হাজিরা দিলেন না তাও জানিয়েছেন বহিষ্কৃত এই বিজেপি নেত্রী।
সূত্রে খবর, ই-মেল পাঠিয়ে কলকাতা পুলিশকে নূপুর শর্মা তাঁর না আসার কারণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, তিনি জানিয়েছেন যে তাঁর জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে তিনি কলকাতা এসে হাজিরা দিতে পারছেন না। তবে হাজিরা দেওয়ার জন্য চার সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। তবে এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের কী বক্তব্য তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
কলকাতা পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১ এ ধারায় নোটিস পাঠিয়েছিল নূপুর শর্মাকে। নারকেলডাঙা থানায় হাজিরা দিতে হত তাঁকে। কিন্তু নির্ধারিত দিনে তিনি এলেন না। আগেই অবশ্য তাঁকে তলব করেছে মুম্বই পুলিশও। আগামী ২৫ জুন নূপুরকে হাজিরা দিতে সমন পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১ নম্বর ধারায় নূপুরকে নোটিস পাঠিয়েছে মুম্বই পুলিশ। এখন দেখা যাক তিনি মুম্বই পুলিশের তলবে সাড়া দেন কিনা।
ইতিমধ্যেই এই প্রাক্তন বিজেপি নেত্রীর গ্রেফতারির দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। তাঁর এই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দেশের বাইরেও ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে দেশে তা নিয়ে বিরাট চাপে কেন্দ্রীয় সরকারও। বিরোধীরা লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে তাদের। নূপুর নিজের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্ষমা চেয়ে নিলেও কিছুই লাভ হয়নি।