নেতাজির ট্যাবলো বাতিল থেকে দ্বন্দ্ব লেগেই আছে রাজ্য কেন্দ্রের মাঝে। কেন্দ্র ফিরিয়েছে নেতাজির ট্যাবলো৷ প্রজাতন্ত্রদিবসের কুচকাওয়াজে নেতাজির জীবন আধারিত ট্যাবলো বাদের ঘটনায় মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে৷ এই নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি৷ কেন বাদ দেওয়া হল নেতাজি-ট্যাবলো? শুনানির সময় এ প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর বলেন, ‘‘নৌবিদ্রোহের সময় ভারতীয় সেনার সঙ্গেই জুড়ে গিয়েছিল নেতাজির তৈরি আজাদ হিন্দ ফৌজ৷ নৌবিদ্রহের সময় নিহত সেনাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ইতিমধ্যেই একটি ট্যাবলো তৈরি করা হয়েছে। সে কারণেই পৃথক করে নেতাজি-ট্যাবলো রাখা হয়নি৷’’
প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে নেতাজির ট্যাবলো বাতিলের সিদ্ধান্ত নাখুশ রাজ্য সরকার৷ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই চিঠি পাওয়ার পরেও কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তে কোনও রদবদল করা হয়নি। এর পরেই বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারি কলকাতা হাই কোর্টে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। সেই মামলারই শুনানি ছিল আজ৷
শুনানির সময়, রমাপ্রসাদ সরকার আদালতে সওয়াল করেন, ‘‘কোন পরিস্থিতিতে নেতাজির ট্যাবলো বাতিল করা হল? কেন শুধু নেতাজির ট্যাবলোই বাদ পড়ল কুচকাওয়াজ থেকে?’’ তাঁর সওয়াল শুনে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন ‘‘এত দেরি করে এলেন কেন?’’ কারণ হাতে সময় খুবই অল্প৷ শেষ মুহূর্তে এই মামলা নিয়ে আদালতের কিছু করার সুযোগ প্রায় নেই৷ ফলে মামলা খারিজ হওয়ার পথে। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাননি বিচারপতিরা। মঙ্গলবার সম্ভবত রায় ঘোষণা হবে। এদিকে, এই মালায় কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য, নেতাজিকে নিয়ে কেন্দ্র কতটা সজাগ তা আগেই প্রমাণিত৷ ২০১৫ সালে কেন্দ্র নেতাজ্র ফাইল প্রকাশ শুরু করে৷ তাঁর হলগ্রাম বসানো হয়েছে৷ মূর্তিও বসানো হবে৷ নেতাজি শুধু বাংলার নয়, গোটা ভারতের৷ তবে সব কিছুরই একটা নিয়ম আছে৷