ফের একবার বিতর্কের শিরোনামে রাজ্যের রাজ্যপাল। নেতাইয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেই নিয়ে বিতর্ক এখনও চলছে কারণ এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন খোদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। নেতাই সফরে শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে রাজভবনে তলব করেছিলেন। কিন্তু তখন তারা কেউই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাননি। করোনা এবং গঙ্গাসাগর মেলার কারণ নির্দেশ মেনেই তারা যাচ্ছেন না বলে জানিয়েছিলেন। সেই ঘটনার পর পরপর তিন দিন তারা তলব এড়িয়েছেন। তাই এবার কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যসচিবকে ৭ দিন সময় দিলেন রাজ্যপাল।
এদিন রাজ্যপাল এই ইস্যুতে একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ”৭ দিনের মধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইস্যুতে জবাব দিতে হবে রাজ্যের মুখ্যসচিভ হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদিকে। কেন শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাইয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়, তা জানাতে হবে। যদি তা অমান্য হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে শাসকের আইন চলছে, আইনের শাসন নয়।” এর আগে যখন মুখ্যসচিব ও ডিজিপি জানিয়েছিলেন যে তারা ‘নির্দেশ’ অনুযায়ী কাজ করছেন, তখন রাজ্যপাল সেই প্রশ্নও তোলেন যে ‘কার নির্দেশ’। সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর পাননি তিনি। তাই এবার সরাসরি মুখ্যসচিবকে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
নেতাইয়ের ঘটনার ২০ বছর পুরণ হওয়ার দিন লালগড়ে নেতাই গ্রামে শহিদ-স্মরণের এক অনুষ্ঠান ছিল এবং সেখানেই উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শহিদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু নেতাই গ্রামের কাছে পৌঁছেও সেখানে ঢুকতে পারেননি তিনি। পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশের সঙ্গে এক প্রকার বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিন। পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিতেও শোনা যায় তাঁকে। পরে নেতাইয়ে কেন যেতে দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী নিজেও।