তিস্তায় ভেসে উঠল বিভিন্ন প্রজাতির  মৃত মাছ

1 min read

রবিবার সকালে জলপাইগুড়ি শহরের জুবিলি পার্ক সংলগ্ন নদীর বুকে বিভিন্ন প্রজাতির মৃত মাছ ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। নদীর পারে ভিড় জমাতে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষক্রিয়ার জেরেই মৃত মাছ ভেসে উঠেছে বলে তাঁদের অনুমান। জলে ভেসে ওঠা ওই সব মাছ সংগ্রহ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিস্তাপারের বাসিন্দারা। এ দিকে, খবর পেয়ে তিস্তার জল ও মাটি পরীক্ষার জন্য এ দিন দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছান মৎস্য দফতরের প্রতিনিধিরা। জলে ভেসে ওঠা মাছ না খাওয়ার জন্য প্রচার চালানো হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে।

সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে কেন্দ্র করে তিস্তায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই সময় পাহাড় থেকে তিস্তার জলে ভেসে আসে সেনাবাহিনীর অস্ত্র-সহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী। তিস্তার চর এলাকায় সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযানে কিছুটা বিপন্মুক্ত হলেও এখনও পুরোপুরি বিপদ কাটেনি বলে দাবি। এরই মধ্যে এ বার জলপাইগুড়ি তিস্তার এক নম্বর স্পারের সামনে মাছের মড়কের ঘটনায় নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে এলাকায়। বন্যার ভেসে আসা কোনও রাসায়নিক থেকেও জল দূষণ এবং তার জেরে এই মাছের মড়কের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না এলাকাবাসীর একাংশ।

তবে সেইসব আশঙ্কা সত্ত্বেও এ দিন সকাল থেকে তিস্তার জলে ভেসে ওঠা মৃত মাছ সংগ্রহ করার হিড়িক লক্ষ করা গিয়েছে। বোরোলি, দারাঙ্গি-সহ বিভিন্ন প্রজাতির নদীয়ালি মাছের মড়ক লেগেছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কুসুম মণ্ডল বলেন, ‘‘কী ভাবে এত মাছের মৃত্যু হল জানা নেই। এই মাছ খেতে বারণ করা হচ্ছে বাসিন্দাদের।“এ দিকে, মৎস্য দফতরের আধিকারিক সুমন সাহা বলেন,”জল, মাটির নমুনা ও মৃত মাছ সংগ্রহ করা হয়েছে পরীক্ষার জন্য। তবে প্রাথমিক পরীক্ষায় দেখা গেল, জলে অক্সিজেনের মাত্রা কম। কেন এমনটা হল, নমুনা ল্যাবে পাঠিয়ে পরীক্ষার পর পরিষ্কার জানা যাবে। এই মাছ খেতে বারণ করা হচ্ছে সবাইকে।’’

a

You May Also Like