চিনের বিরুদ্ধে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হবে

1 min read

করোনা অতিমহামারীর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার চিনের কড়া সমালোচনা করেছেন। তাঁর দাবি, চিন প্রথমে রোগের কথা গোপন করেছিল। না হলে আগেই ব্যবস্থা নেওয়া যেত। বিশ্ব জুড়ে অতিমহামারী ছড়িয়ে পড়ত না। কিছুদিন আগে হংকং-এ কঠোর আইন করে সেখানে মার্কিন সাংবাদিকদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করছে চিন। তাতে আরও অসন্তুষ্ট হয়েছে আমেরিকা। এর পাশাপাশি চিনে উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে চিনের কড়া পদক্ষেপ এবং তিব্বতে নিরাপত্তার কড়াকড়ি নিয়েও সরব হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

বুধবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কেলেই ম্যাকএনানি সাংবাদিকদের বলেন, “চিনের বিরুদ্ধে নতুন কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এখনই বলতে পারব না। তবে শীঘ্র আপনারা অনেক কিছু শুনতে পাবেন।” বুধবারই আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ওব্রায়েন বলেন, চিন এখন হংকং দখল করেছে। তাঁর কথায়, “আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে চিনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতিমধ্যে চিনের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নিয়েছেন, আগে কেউ নেয়নি। বাণিজ্য ঘাটতি দূর করার জন্য তিনি চিনের পণ্যের ওপরে চড়া হারে শুল্ক বসিয়েছেন।”

দু’সপ্তাহ আগে অ্যারিজোনায় এক ভাষণে ওব্রায়েন বলেন, চিনের কমিউনিস্ট পার্টি আমেরিকার পক্ষে বিপজ্জনক। তার একদিন আগে এফবিআইয়ের ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার রে মার্কিন প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেন, চিন সবসময় অন্যের মেধাসম্পদ চুরির চেষ্টায় থাকে। গত সপ্তাহে মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও-র মন্তব্য উদ্ধৃত করে ওব্রায়েন বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন এখন টিকটক, উইচ্যাট ও আরও কয়েকটি চিনা অ্যাপের ওপরে কড়া নজর রাখছে। অভিযোগ, তারা মার্কিন নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য অন্যের কাছে ফাঁস করে দেয়।

You May Also Like