যশ মোকাবিলায় প্রস্তুত মালদা পুলিশ প্রশাসন

করোনা আবহের মাঝেই চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় যশ। যশের মোকাবিলায় রাজ্য জুড়ে চলছে প্রস্তুতি। মূলত এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। কিন্তু তার সাথে বহু জেলায় হবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি। সঙ্গে বইবে ঝড়ো হাওয়া। তার সংকেত মিলছে মঙ্গলবার থেকেই। যশ এর প্রভাব যে জেলাগুলির মধ্যে পড়বে তার মধ্যে রয়েছে মালদা জেলাও। বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এই জেলায়। মঙ্গলবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা দেখা গেছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে হচ্ছে বৃষ্টি। মালদার মানিকচক দিয়ে বয়ে গেছে গঙ্গা নদী। নদীতেও বেড়েছে জলস্তর। নদী তীরবর্তী এলাকা গুলোতে বইছে ঝড়ো হাওয়া। বেড়েছে নদীর স্রোত। প্রশাসন থেকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে মাঝিরা যাতে এই সময় মাছ না ধরতে যায়। কিন্তু সেই সতর্কতাটি উপেক্ষা করে বিপদের মুখে পড়ল এক মাঝি। তবে পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পেল প্রাণ। উদ্ধার করা হয়েছে নৌকাও।

মঙ্গলবার সকালে ছোট নৌকা নিয়ে মানিকচকের গঙ্গাতে মাছ ধরতে যান এক মাঝি। সেই সময় ঝড়ো হাওয়ায় এবং নদীর জলের স্রোতে মাঝ নদীতে নৌকা উল্টে যায়। নদীতীরে সেই সময়ে নজরদারি চালাচ্ছিলেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা। তারা দেখতে পেয়ে তৎপর হয়ে ওই মাঝিকে উদ্ধার করে। দড়ি দিয়ে টেনে তোলা হয় নৌকা। পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ওই মাঝি।

মানিকচক থানার আইসি সঞ্জীব বিশ্বাস জানান, “সব রকম পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমরা তৈরি রয়েছি। তৎপর রয়েছে পুলিশ। তবে সঙ্গে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।”

আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার ভোর বেলা উড়িষ্যার বালেশ্বর এবং দীঘা উপকূলবর্তী মাঝে অঞ্চলে আছড়ে পড়বে যশ। তারই প্রভাব পড়বে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার এবং প্রশাসন। সরকারি নির্দেশ দিয়েছে সকল মানুষকে সতর্ক থাকার। মাঝিদের এই মুহূর্তে নদীতে বা সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশও রয়েছে। সকলের উচিত সেই নির্দেশ মেনে চলা।